রিদওয়ানুল হক, কিতাবের মানুষ। কিতাব, মানে সংবিধান, আইন, এইসব। ছাত্রমহলে প্রসিদ্ধ আইনের ওস্তাদ। উনার সাথে মাঝে মধ্যে কথা হত, ফোনে। মেলবোর্নের এক বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন পড়ান। আর আমি আইন কীভাবে ভাঙতে হয়, তার আলাপ, কল্পনা ও প্ররোচনা তৈরী করি। মানে, মাস্টারের দৃষ্টিতে আইন হাতে তুলে নেওয়া অপরাধী। আমি গণঅভ্যুত্থান থিকা যে লেজিটিমেসি তৈরী হয়, তারে নিয়া ভাবি। আর রিদওয়ান ভাবেন, কীভাবে এইটা এখনো প্রায় অসম্ভব ধারণা, সংবিধানের ভেতর থিকাই লেজিটিমেসি ঠিক হতে হবে, এইসব। ফলে, উনি আমারে পছন্দ করার কথা না। কিন্তু, খেয়াল করলাম, পছন্দ করেন বেশ। আমাদের যোগাযোগ শুরু তর্ক দিয়ে। বহুত আগ থিকাই৷ অনেক তর্ক আছে আমাদের। আজকেই প্রথম দেখা। দুপুরে হঠাৎ কল দিলেন। ভাবলাম, মেলবোর্ন থেকে। বললেন, চট্টগ্রাম। কফি খেতে খেতে এক ঘন্টারও বেশি সময় ধরে আড্ডা হল আমাদের। সন্ধ্যায়।
#রিফাতহাসান #ফেসবুকেও প্রকাশিত।
Be the first to comment!